5 November 2019

End COPD


এজমার মত ফুসফুসের আরেকটি রোগ হল সিওপিডি,,,,
এটা সম্পরকে জেনে নেওয়া যাক,,

ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পুলমানারি ডিজিজCOPD
ফুসফুসের একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ যার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হয়। সিওপিডি দ্বারা ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হলে শ্বাসনালির দেয়াল ফুলে যায় এবং শ্বাসনালির ভেতর আঠালো মিউকাস তৈরি হয়। ফলে শ্বাসনালির ভেতর কম বাতাস প্রবেশ করতে পারে এবং ফুসফুসের ভেতরের ক্ষুদ্র বায়ুথলিগুলোতে বাতাস আটকে থাকে তাই ফুসফুস পরিপূর্ণ অনুভূত হয়।এই ঘটনাটা প্রায় অনেক দিন ধরেই চলে,,।
 - ফুসফুসের একটা অসুখ যাতে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সিওপিডি-র ফলে কাশি দেখা দেয়, সেই সঙ্গে কফ, নিঃশ্বাসে সাঁ সাঁ শব্দ, দম ফুরিয়ে যাওয়া, বুক হালকা লাগা, ইত্যাদি উপসর্গ থাকে। ধূমপানের সঙ্গে এই অসুখটি যুক্ত।

সিওপিডি-র ফলে বহুলোকই কর্মক্ষমতা হারায়। বহুলোক এতে মারাও যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক কোটি কুড়ি লক্ষ লোকে এই অসুখে ভুগছে। আসল সংখ্যা হয়ত তার থেকেও বেশী। কারণ সবাই এখনো জানে না যে, তাদেরও এই অসুখ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশে, যেখানে বায়ু-দূষণ বেশী এবং সিগারেট খাওয়া এখনো একটা বড় নেশা - সেখানে সিওপিডি-তে যে বহু লোকে ভুগছে - সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
সিওপিডি শুরু হয় ধীরে ধীরে। কিন্তু বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থায় পৌঁছয় যে, হাঁটাচলা করাও কঠিন হয়ে ওঠে। এটা মধ্য বয়সে বা বৃদ্ধ অবস্থায় ধরা পড়ে। 

বলা হয়ে থাকে চল্লিশ বৎসরের উপরে, বাংলাদেশের শতকরা বাইশ জন সি.ও.পি.ডি’তে ভুগে থাকেন। সেই হিসাবে প্রায় ষাট লক্ষ মানুষ সি.ও.পি.ডি’তে আক্রান্ত আমাদের জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনষ্টিটিউতে প্রতিদিন যে সকল রোগী ভর্তি হয় তার এক চতুর্থাংশই সি.ও.পি.ডি ও এর জটিলতায় আক্রান্ত এবং প্রতি সপ্তাহে যে সকল রোগী মরা যান তার এক তৃতীয়াংশ সি.ও.পি.ডি’তে আক্রান্ত থাকেন।

এক সময় আমাদের চিকিৎসকদেরও ধারণা ছিল, সিওপিডি হয়ত শুধুমাত্র পুরুষদের রোগ। সে ধারণা দ্রুত ভুল প্রমাণিত হয়েছে। মহিলারাও সমভাবে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। পুরুষ ধূমপায়ীদের মত আমাদের দেশে মহিলা ধূমপায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে, সে জন্য ভবিষ্যতে আমরা অধিক হারে মহিলা সিওপিডি রোগী পেতে পারি। এছাড়াও একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা ধূমপান না করেও, কেবল মাত্র অসচেতনতার কারণে সিওপিডি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মূল কারণ বাড়ির আভ্যন্তরিন পরিবেশ দূষণ এবং এই দূষণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে বাড়ির চুলার ধোঁয়া থেকে। বিশেষ করে চুলার জ্বালানী হিসাবে যদি, খড়ি, খড়-কুটো, কয়লা বা শুকনো গোবর ব্যবহার করা হয়।

সাধারণত চল্লিশ বা এর অধিক বয়সের লোকদের সিওপিডি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়ার সাথে সাথে এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই রোগ চল্লিশ বৎসরের নীচের লোকদেরও হয়ে থাকে।

সিওপিডির উপসর্গ: দীর্ঘদিন ধরে কাঁশি, কাঁশির সঙ্গে কফ/ মিউকাস নির্গত হওয়া, বুকে চাপ অনুভব করা, শ্বাসকষ্ট, অবসাদ বা ক্লান্তিবোধ করা।

সিওপিডির ঝুঁকিগুলো: ধূমপান বা তামাকজাত পণ্য গ্রহণ, ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ (রান্নার চুলা থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া), ঘরের বাইরের বায়ুদূষণ, কলকারখানার ধুলোবালি এবং রাসায়নিক বর্জ্য

চিকিৎসার নিমিত্তে বিশ্বের নামিদামী ঔষধ কোম্পানীগুলো নতুন ঔষধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করছে, রোগটি আসলে প্রতিরোধ যোগ্য। রোগটি প্রতিরোধে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি নিন।
ক. ধূমপানকে না বলুন, শুধু না নয়, প্রতিরোধ করুন।
খ. গৃহস্থলি কাজে স্বাস্থ্য সম্মত চুলা ব্যবহার করুন। চুলার ধোঁয়া বাড়ি থেকে সরাসরি বের হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখুন।
গ. আপনার এলাকায় বায়ু দূষণ কমিয়ে আনার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তলুন। ধোঁয়া উৎপন্নকারী কারখানা জনবসতির বাইরে রাখুন।
ঘ. আপনার ফুসফুসের যে কোন সংক্রমন বা সমস্যার দ্রুত সমাধান করুন।

Thank yoou

No comments:

Post a Comment

https://www.facebook.com/102033251244465/posts/276859113761877/ https://www.facebook.com/102033251244465/posts/276859113761877/